সর্বশেষঃ

রাজাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাবা সভাপতি ছেলে প্রধান শিক্ষক বৌ’রা সহকারী

সদর উপজেলার রাজাপুরে রয়েছে দক্ষিন পুর্ব কন্দ্রকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। যে বিদ্যালয়টি চলছে পরিবার শাষিত ভাবে। বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে রয়েছেন জনাব রফিকুল ইসলাম,প্রধান শিক্ষক সভাপতির পুত্র কামাল হোসেন,সহকারি শিক্ষিকা নাসরিন সভাপতির পুত্র জাকিরের স্ত্রী শিক্ষিকা খালেদা সভাপতির আরেক পুত্র সেনা সদস্য আলি হোসেনের স্ত্রী , বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি সহ সকল শিক্ষক একই পরিবারের সদস্য হওয়াতে বিদ্যালয়টি পরিবার তান্ত্রিক শিক্ষালয় বলে মন্তব্য স্থানীয়দের।

এদিকে ৫ই নভেম্বর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ে ২০/২৫ জন ছাত্র ছাত্রী কোলাহল করছে শিক্ষকরা সবাই বাসায় রয়েছেন এমন সোজা জবাব দিলেন উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীরা। বিদ্যালয়ে সাংবাদিক এসেছে শুনে প্রধান শিক্ষক সহ তার শিক্ষিকা ভাবিরা তাদের নিকটবর্তী বাসা থেকে বিদ্যালয়ে হাজির হন। বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকাটিও পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে পতাকাটি এই অবস্থা কেনো? এই সময় প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন এর সোজা জবাব পতাকা দুইটি তাই এইটা দিয়ে টেবিল পরিস্কার করি। দেখা যায় জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধান মন্ত্রীর ছবিটি যথাযোগ্য স্থানে সংযোজন করার মতো সময়ও পাননি এ বিদ্যালয়ের কেউ। নাকি পরিবার তান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বলে প্রয়োজন মনে করেননি এমনটাই ধারনা করেন স্থানীয়রা।

বাহির থেকে বিদ্যালয়টি অত্যান্ত সৌন্দর্য মন্ডিত আধুনিক ভবন দেখলে বিদ্যালয়টি জুড়ে রয়েছে অনিয়ম। প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন ভাই আমি অনেক কষ্ট করে তিনটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেছি। সবে মাত্র ৬কোটি টাকা ব্যায়ে এই একটি ভবন বাস্তবায়ন হল।আপনার প্রতিষ্ঠানে মোট কত ছাত্র ছাত্রী আছে? জবাবে তিনি বলেন ২৬৪জন। কিন্ত শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত উপস্থিত আছে মাত্র ৬০ জনের মত। উপবৃত্তি পায় কতজনে? তাতে তিনি বলেন শতভাগ উপবৃত্তি পায় আমার বিদ্যালয়ে। ২৬৪জনকেই আমরা উপবৃত্তি প্রদান করি। ২০% উপস্থিতি সেখানে ২৬৪জনকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয় কিভাবে? এমন প্রশ্নে নিশ্চুপ থাকেন প্রধান শিক্ষক কামাল।

প্রধান শিক্ষক কামাল সাংবাদিকদের বলেন ভাই নিউজ কইরেন না, আমি আপনাদের সাথে দেখা করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।