তজুমদ্দিনে আড়ালিয়া মাদ্রাসায় বিশৃংখলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
বটি দিয়ে মাকে গলা কেটে ‘হত্যা’ করল মেয়ে!
ছেলে হারিয়ে দীর্ঘদিন মানসিকভাবে অসুস্থ মা। ঘর থেকে বাহির হন না। চাইলেও তাতে বাধা দেয় মেয়ে। গতকাল ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে যেতে চাইলে নিষেধ করেন মেয়ে। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন চাঁনতারা বেগম (৪২) নামে ওই মা। ঘটনার এক পর্যায়ে মেয়ে রেগে গিয়ে বটি দিয়ে মায়ের গলায় কোপ বসিয়ে দেন।
গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, মানসিকভাবে অসুস্থ ওই নারীর তিন সন্তান বর্তমানে দুই সন্তান। আবু সাঈদ (৮) ও তানিয়া আক্তার (১৬)। দুই বছর আগে বড় ছেলে হাসান হারিয়ে যায়৷ এরপর থেকে চাঁনতারা বেগম মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গত শনিবার চাঁদতারা বেগমের স্বামী মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যায়৷ এসময় মেয়ে তানিয়া ঘুম থেকে জেগে উঠলে তার মা ঘর থেকে বের হতে চায়। এতে মেয়েটি তার মাকে ঘরের বাইরে যেতে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন চাঁদতারা। পরে তার মা রান্নাঘর থেকে বটি নিয়ে এসে তার মেয়েকে বলে ‘নে আমারে মাইরালা’। তখন মেয়ে তানিয়া রেগে গিয়ে তার মায়ের হাত থেকে বটি নিয়ে গলায় কোপ বসিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় মেয়ে তানিয়ে তার মা আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাঁনতারা বেগমের ভাই মো. জাকির হোসেন (৩৮) বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তানিয়া আক্তারকে করলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে সব কথা স্বীকার করে।
গতকাল রোববার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তানিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলমগীর হোসেন, ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আহমেদ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ সেলিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।