সর্বশেষঃ

বাল্যবিবাহ টি ঠেকাতে পারলো না কেহ?

ভোলার লালমোহনে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে বাল্য বিবাহ দিল তার বাবা মা। ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ইং বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাল্য বিবাহ হয় লালমোহন বাজারের দিদার হোটেলের উপর কাজী অফিসে। লালমোহন বাজারে বিবাহ হবার পর ছেলে মাইক্রো হাকিয়ে মেয়ের বাড়ীতে যায়। বাল্য বিবাহের কথা শুনে মেয়ের বাড়ীতে পুলিশ আসে। পুলিশের খবর পেয়ে মেয়ে পক্ষ ছেলেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। পুলিশ মেয়ের বাড়ীতে গিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠান বন্ধ করে মেয়ের বাবা মাকে বাল্য বিবাহ না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে আসে। পুলিশ যাওয়ার পর মেয়ে পক্ষ ছেলেকে রাত আনুমানিক ৩ টায় মেয়ের বাড়ীতে নিয়ে আসে। রাত ৩ টার সময় ছেলের বন্ধুরা খাওয়া দাওয়া করে মেয়ের বাড়ীতে থাকে। শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে ছেলে পক্ষের লোকজনকে দুপুরের খাবার দিয়ে ছেলে ও তার বন্ধুদের বিদায় দেন মেয়ের বাবা মা।

জানা যায়, মেয়েটি বর্তমানে লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৪। বর্তমান বয়স ১৫ বছর ৮ মাস প্রায়। ৫ম ও ৮ম শ্রেণির সনদ অনুযায়ী মেয়েটির নাম তানজিলা আক্তার মীম, পিতা- মোঃ ছালাউদ্দিন, মিন্টু দোফাদার বাড়ী, লালমোহন পৌরসভা ১২ নং ওয়ার্ড। ছেলের বাড়ী লালমোহনের পশ্চিমে নবীনগর এলাকায়। এ ব্যাপারে লালমোহন থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন আমরা বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে গত কাল বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের বাড়ীতে যায়। আমাদের আসার খবর পেয়ে বর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আমরা মেয়ের বাবা মার কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছি তারা মেয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাল্য বিবাহ দিবে না বলে জানিয়েছে।

এই বাল্য বিবাহের ব্যাপারটি লালমোহন ইউএনও কে জানানো হয়েছে। ৯৯৯ এ রিং করে জানানো হয়েছে। কিন্তু মেয়ের বাবা মায়ের কারনে কোন ভাবেই বন্ধ করা যায়নি বাল্য বিবাহটি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।