চরফ্যাশন ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজে বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ
হত্যার পর স্ত্রীর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে শ্বশুরবাড়ি পাঠাল স্বামী!
নিজের স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর তার লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের হাসিমুদ্দিন সরকারের ছেলে।
এ দিকে, নিহত গৃহবধূ মার্জিয়া আক্তার লিপি একই গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের মেয়ে ও তিন সন্তানের জননী।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার হালিশহরে। স্বামীর কর্মস্থলের সূত্রে নিহত গৃহবধূ তিন সন্তান নিয়ে হালিশহরেই বসবাস করত।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের মেয়ে মার্জিয়া আক্তার লিপির সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই গ্রামের হাসিমুদ্দিন সরকারের ছেলে মোশারফ হোসেনের। স্বামীর কর্মস্থলের সুবাদে লিপি তার স্বামী ও তিন সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহরে একটি ভাড়া বাসায় থাকত। অভিযুক্ত স্বামী মোশারফ হোসেন সরকার সেখানে ঠিকাদারির কাজ করত।
পরিবারের লোকজন জানায়, তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে মোশারফ ওই ভাড়া বাসায় লিপিকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত ৩টার দিকে চুপাইর গ্রামে লিপির বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকেই লিপির স্বামী মোশারফ হোসেন সরকার পলাতক রয়েছে।
নিহত লিপির মা রহিমা বেগম অভিযোগ করেন, ‘চট্টগ্রামে লিপির প্রতিবেশীরা ফোন করে জানান মোশারফ আমার মেয়ে লিপিকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘বিয়ের এক বছর পর থেকেই যৌতুকের জন্য মোশারফ লিপিকে চাপ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার লিপিকে মারধরও করেছে মোশারফ। তিন বছর আগে মোশারফ নির্মমভাবে পিটিয়ে লিপির বাম চোখ নষ্ট করে দিয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালীগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক দৈনিক অধিকারকে জানান, বাকপ্রতিবন্ধী লিপি আক্তার তার স্বামীর সঙ্গে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার হালিশহরে থাকত। নিহতের পরিবারের দাবি, লিপির স্বামী তাকে হত্যা করে লাশটি বাড়িতে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম নিহতের বাড়িতে পৌঁছে লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় হত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় প্রেরণ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।