সর্বশেষঃ

জোর করে শারীরিক সম্পর্ক, বিয়ের দাবি করায় মারধর

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই ছাত্রী তার বিবাহিত প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবি জানালে তাকে মারধর করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার বিরামপুর থানায় মামলা হলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার আসামিরা হলেন, কলেজছাত্রীর প্রেমিক আতাউর রহমান সাদ্দাম। তিনি শৈলান গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। এছাড়া জাঙ্গইর জোয়াল কামড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে মাসুম রানা। আতাউর রহমান সাদ্দামের স্ত্রী সাধিনা (২৪), আসাদ আলীর ছেলের আবু বক্কর সিদ্দিক, শৈবাল গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী বেদেনা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শৈলান গ্রামের আতাউর রহমান সাদ্দাম নামে বিবাহিত এক ব্যক্তি ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত চার দিন আগে সাদ্দাম ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে পৌরশহরের আদর্শপাড়ায় তার ভাগ্নের বাড়িতে নিয়ে যান। তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে পরনের কাপড় খুলতে থাকেন এবং তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।

এরপর সাদ্দাম বিয়ের করতে অসম্মতি জানালে ছাত্রীটি রোববার সাদ্দামের বাড়ি গিয়ে বিয়ের দাবি জানান। এসময় সাদ্দামের স্ত্রী, বাবা-মা মিলে ওই কলেজছাত্রীর চুলের মুঠি ধরে মারধর করে তাকে তাড়িয়ে দেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বিরামপুর থানায় এসে পুলিশের সহায়তা চাইলে পুলিশ তাৎক্ষণিক মামলা রেকর্ড করে। পরে আদর্শপাড়া থেকে এ ঘটনায় সহায়তা করার অভিযোগে মামলার এজাহারভুক্ত মাসুম রানা নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, কলেজছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।