ভোলায় এমরান হোসেন সাত্তারের ভূমিদস্যুতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ
(অভিযুক্ত এমরান হোসেন সাত্তার : ছবি- ভোলার বাণী)
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ও ইলিশা ইউনিয়ন এর কালুপুর গ্রামের অসহায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আতংকের নাম এমরান হোসেন সাত্তার। মেঘনা নদীর তীরবর্তী অসহায় মানুষেরা দীর্ঘ ৩০/৪০ বছর থেকে বাড়ীঘর করে বসবাস করেছেন, কিন্তু তাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছেন এমরান গংরা। এমরানের নামে জমির কার্ড হয়েছে দাবী করে ঐ এলাকায় (এমরান নগর) বানিয়ে সাইনবোর্ড ও তার ভাই ভাতিজা দিয়ে পিলার দিয়ে সিমানা নির্ধারনসহ নানা আতংক ছড়িয়ে দিয়েছেন ৪০ বছর বসতী ঐ অসহায় মানুষের মাঝে।
সরজমিন ইলিশা কালুপুর গিয়ে খেটে খাওয়া মানুষের কাছে কথা বলে জানা যায়, এমরান বাহিনীর কাছে তারা কতটা অসহায় সেই অসহায়ত্বের কথা। অনেকে আবার এমরান হোসেন সাত্তারের পালিত ভূমিদস্যুদের ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। এ পর্যায়ে ভুক্তভোগী বিবি ছালেহা, ফিরোজা বেগম, মিনারা বেগম, পারভিন, হাজেরা, ছাদেক কারী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ৩০/৪০ বছর এই জমিতে বাড়ীঘর করে বসবাস করছি। হঠাৎ এই ছত্তর কারী (এমরান হোসেন ছাত্তার) এসে বলেন এই জমি নাকি তার, এখানে থাকতে হলে তাকে টাকা দিতে হবে নইলে বানিয়ার চরের মত আমাদের বাড়ীঘর ভেঙ্গে দিবে। আবার অনেকের কাছ থেকে দলিল দিবে বলে টাকা ও নিয়েছে এই ছাত্তার কারী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পশ্চিম ইলিশা চরপাতা গ্রামের মৃত মোতালেব কারীর ছেলে এই এমরান হোসেন সাত্তার ন্যাশনাল আইডি কার্ড সূত্রে তার জন্ম তারিখ ১৯৬৯-৭-২ হলেও বিভিন্ন দলিলে নিজের জন্ম তারিখ বিভিন্ন রকম। এভাবেই ভিন্ন ভিন্ন জন্ম তারিখ দিয়ে নিজের নামে বিভিন্ন মানুষের সম্পত্তি করে নেন ভুয়া জাল জালিয়াতির মাধ্যমে। হঠাৎ এই এমরানের ভূমিদস্যুতা প্রকাশ পায়। নিজের নামে সাইনবোর্ড সর্বস্ব লাগিয়ে প্রকাশ করছেন এই গ্রামের নাম এমরান নগর।
এদিকে ভোলার বাণীর হাতে আসে তার বিক্রিকৃত অবৈধ দলিল। যার নং ২৮৩৬। দলিলে দেখা যায় তার জন্ম তারিখ ২-৭-১৯৬০ (৬৯ বছর বয়স)। ২৯০১ দলিল নং তার বয়স ৫৫ বছর এবং ২৯০২ দলিলেও দেখা যায় তার বয়স ৫৫ বছর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বৃদ্ধ বলেন, এক দুষ্ট তহসিলদার দিয়ে এই ভুয়া জমি বন্দোবস্ত নিয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। ঐ বৃদ্ধ আরো জানান, ১৯৬৯ সালে যদি এমরান হোসেন ছাত্তারের জন্ম হয় তাহলে ৬৬-৬৭ সালে। তার নামে জমি বন্দোবস্ত হয় কিভাবে ? এই জাল জালিয়াতির হোতা ও ভূমিদস্যুতা এমরান হোসেন ছাত্তারকে আইনের আওতায় এনে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।
এদিকে এমরান হোসেন ছাত্তার ভোলার বাণীকে বলেন, ঘটনা সবই সত্য। সাইনবোর্ডও আমি দিয়েছি, তবে জমি আমি করি নাই। জমি করেছে আমার বাবা, দোষ করলে আমার বাবা করছে। প্রিয় পাঠক চোখ রাখুন দ্বিতীয় পর্বে তুলে ধরবো এই ভূমিদস্যু এমরান হোসেন ছাত্তারের কারো অজানা কাহিনী।