ভোলায় শুরু হয়েছে ল্যাপারোসকপিক সার্জারী
ভোলা ২শ’ ৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আজ থেকে শুরু হয়েছে ল্যাপারোসকপিক সার্জারী। এ ল্যাপারোসকপিক সার্জারী উদ্ভোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুর্মিটোলা হাসপাতালের কনসালট্যান্ট সার্জারী ডাঃ সামী আল হাসান, কনসালট্যান্ট সার্জারী ডাঃ সবুজ কুমার পাত্র, ভোলা সদর হাসপাতালের গাইনি কনসালট্যান্ট সার্জারী ডাঃ সাইফুর রহমানসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। উদ্ভোধনী দিনেই ৩ জন জেনারেল সার্জারী এবং ৩ জন গাইনি বিষয়ক মোট ৬জন রোগীর ল্যাপারোসকপিক সার্জারী মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা শুরু করেছেন।
ভোলা থেকে প্রায় ৩০কিলোমিটার দুরুত্ব দৌলতখান উপজেলা থেকে আসা রোগী খাদিজা বেগম (৪০) দীর্ঘ ৫ বছর যাবত পিত্তথলিতে পাথর হওয়ায় কারণে যন্ত্রনা ভোগ করেন। গরীব হওয়ার কারণে ঢাকা বা বরিশাল গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছিল না। ভোলা ২শ’ ৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কোনো কাটাছিরা ছাড়াই ল্যাপারোসকপিক সার্জারী মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর বের করা হয় এবং অপারেশন সফল হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান এ ল্যাপারোসকপিক সার্জারী চালু হওয়াতে গরীব রোগীদের জন্য অনেক সহয়াক হয়েছে। তাদের আর ঢাকা বরিশাল যেতে হবে না। ইতিমধ্যে ভোলা ২শ’ ৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতাল চালু হয়েছে। অতি শিঘ্রই আধুনিক চিকিৎসা সেবা চালু হবে।
ভোলা জেলা ইতিপূর্বে চিকিৎসা সেবায় ৬৬তম স্থানে ছিল। বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতাল বাংলাদেশের মধ্যে চিকিৎসা সেবায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।
গতমাসে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাতিয় নেতা তোফায়েল আহমেদ বিভিন্ন সভা সমিতিতে বলেছেন আগামী দু এক এক মাসের মধ্যই ভোলা ২শ’ ৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধন করবেন।