ভোলার নৃশংস হত্যাকান্ড কার ইশারায় ?
ভোলার নৃশংস হত্যাকান্ড কার ইশারায়’, ‘উই লাভ প্রফেট মোহাম্মদ (সা.)’ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর পল্টন এলাকা। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে হেফাজতে ইসলাম। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে এ কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনের ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরা। এতে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মুসল্লিরাও অংশ নেন। তারা ভোলায় হতাহতের ঘটনার জোর প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন শ্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। তাদের শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পল্টন এলাকা।
সমাবেশে তারা মহানবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) কটূক্তিকারী ও ভোলার সংঘর্ষের বিষয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। একই সঙ্গে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে- আল্লাহতা’আলা ও মহানবী (সা.)-এর কটূক্তিকারীকে গ্রেফতার, ভোলার ঘটনায় নিহতদের তিপূরণের ব্যবস্থা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার ও সুচিকিৎসা গ্রহণ করা, গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ, গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহার করা। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীসহ শীর্ষ নেতারা।
ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে তৌহিদি জনতার ব্যানারে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সকাল ১০টার মধ্যেই সংপ্তি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হয়। পরে মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর হামলা হয়। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসী। এ সময় পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন।
ওই ঘটনায় ভোলার অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। রোববার রাতে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন এ মামলা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ (গতকাল) সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম। সোমবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাটহাজারীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের প্রতিটি জেলা শহর থেকে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।