বোরহানউদ্দিনের সহিংস ঘটনায় সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের প্রতিবাদ

ভোলার সহিংস ঘটনাকে পরিকল্পিত হিসেবে উল্লেখ করে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ ‘৭১ প্রতিবাদ জানিয়েছে। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধর্মীয় অনুভূতিরসহ যে কোন ঘটনায় কেউ সংুব্ধ হলে দেশের প্রচলিত আইনে প্রতিকার চাইবার সুযোগ আছে। কিন্তু তা করা হয়নি। গুজব ছড়িয়ে সামাজিক উত্তেজনা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফোরাম এই ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানায় এবং একই সঙ্গে উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত কয়েক বছর ধরে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার করে দেশ ও সমাজে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কক্সবাজারের রামুতে দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ওপর ভুয়া ফেসবুক পোস্টের কথা বলে নজিরবিহীন হামলা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একইভাবেই এক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর ফেসবুক পোস্টে অপপ্রচার ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয়েছে। সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ মনে করে – এসব ঘটনা পরিকল্পিত এবং দেশে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে করা হয়েছে।
ফোরাম মনে আরো করে, বিগত ২০ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিনে সংঘটিত সাম্প্রয়িক সন্ত্রাসের ঘটনাটিও পরিকল্পিত। সেখানে পরিকল্পিত ভাবে ফেসবুককে আশ্রয় করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া হয়েছে যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
জানা গেছে, বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য নামের এক হিন্দু যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে কিছু মৌলবাদি ব্যক্তি ধর্ম ও মোহাম্মদ (সা:) সম্পর্কে আপত্তিকর কথা প্রচার করে। উল্লেখিত ব্যক্তি তার ফেসবুক আডি হ্যাকড্ হয়েছে বলে থানায় জানায়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা ও পদক্ষেপ নেওয়ার পরও মৌলবাদিরা দিনব্যাপি তান্ডব চালায়। ফলে চারজন ব্যক্তি নিহত হয় ও বহু সংক আহত হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page