ভোলার ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি
ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী বুধবার এই প্রতিবাদ সমাবেশ হবে বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন।
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি বলেন, ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরে পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে যারা শাহাদত বরণ করেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মহান আল্লাহ ও মহানবীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জেরে সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এর প্রতিবাদে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে জড়ো হয়েছিল সাধারণ মানুষ। এটি তো কোনো অপরাধ নয়। ‘তারা কোনো ভাঙচুর করেনি। কারো ক্ষতি করেনি। প্রতিবাদ করা কি অন্যায় ? তারা কি ভাঙচুরে লিপ্ত হয়েছিল ? যে কোন ধর্ম সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করলে মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠা নতুন কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন সুকৌশলে ভোলার মানুষের প্রতিবাদটিকে সাম্প্রদায়িক ঘৃণ্য রূপ দেয়ার চক্রান্ত চালাচ্ছে। সরকার ও প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ না করে হত্যাকান্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। আর প্রধানমন্ত্রী তার স্বভাবসুলভ ভাষায় প্রতিবাদকারীদের প্রতি হুমকি ধমকি দিচ্ছেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গত এক দশকে পুলিশ প্রমাণ করেছে বিরোধী দল ও ভিন্ন মতের মানুষকে হত্যা করলে কোনো বিচার হয় না বরং পদোন্নতি হয়। তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এ কারণেই ভোলার জনগণের ভাষা বোঝার চেষ্টা করেনি বর্তমান সরকার। ভোলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কারণে ভোলাকে রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।