সিঙ্গাপুরে জুয়ার টাকা যেত হুন্ডির মাধ্যমে

ক্যাসিনো গডফাদার ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে হক নামে এক ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তার মাধ্যমে প্রতিমাসে সম্রাট সিঙ্গাপুরে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করতেন।
এই অর্থ দিয়ে সেখানে তিনি জুয়া খেলতেন। সিঙ্গাপুরে ম্যারিনা বে স্যান্ডস হোটেলে তিনি একজন ভিআইপি জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত। প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার সম্রাট জুয়া খেলতে যেতেন। জুয়ার পাশাপাশি সেখানে তিনি এক বান্ধবীর সঙ্গে প্রমোদভ্রমণে যেতেন।
এজন্য যে অর্থ ব্যয় হতো তার পুরোটাই হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতেন। হক সম্পর্কে সম্রাট এখনও বিস্তারিত তথ্য দেননি বলে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান। তাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করার আগেই মামলা গোয়েন্দা পুলিশ থেকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর হয়।
এ কারণে পুরো বিষয়টি জানা সম্ভব হয়নি। তবে হোয়াটসঅ্যাপের সূত্র ধরে হকের বিস্তারিত পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর ক্যাসিনো, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার ঘটনায় খালেদ মাহমুদ গ্রেফতার হন। ২০ অক্টোবর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন জি কে শামীম।
এ দু’জনকে গ্রেফতারের পর ব্যাপক আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সহযোগী আরমানসহ সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব।
৭ অক্টোবর র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনের এ দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত সম্রাটকে ১০ দিনের এবং আরমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।