সর্বশেষঃ

জানা গেল সেই জি কে শামীমের নতুন তথ্য

ক সময় যুবদলের নেতা কীভাবে যুবলীগে পুনর্বাসিত হয়েছেন, কীভাবে টেন্ডার বাগিয়ে নিতেন এর সবকিছুই কবুল করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে। জি কে শামীমের ৭/৮টি ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যে আসর বসত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বড় বড় প্রকৌশলীদের। ওইসব ফ্ল্যাটে থাকত সব ধরনের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা। গোপন ক্যামেরায় আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করে পরবর্তীতে জি কে’র পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করা হতো তাদের।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জি কে শামীম নিজের জিকে বি অ্যান্ড কোম্পানির নামে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ নিলেও আরও ৫টি কোম্পানির নামে অন্তত আরও ২০ হাজার কোটি টাকার টেন্ডার বাগিয়ে নিয়েছেন। ওই কোম্পানিগুলোতেও তার রয়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শেয়ার। কোম্পানিগুলোর মধ্যে হলো, জামাল কনস্ট্রাকটিং, পদ্মা কনস্ট্রাকশন, মজিদ অ্যান্ড সন্স, হাসান অ্যান্ড সন্স, পায়েল কনস্ট্রাকশন।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, দেখুন জি কে শামীম আমাদের কাছে ৯ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। ওই সময় আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। এখন সেগুলোর যাচাই-বাছাই চলছে। তবে যাদেরই সম্পৃক্তরা পাওয়া যাবে তাদেরই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জানা গেছে, বাসাবো এলাকায় আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জনের নামে জি কে শামীম অন্তত ২০টি বাড়ি কিনেছেন। এর মধ্যে অন্তত ৪টি তার নিজের নামে রেজিস্ট্রি করা।

প্রসঙ্গত, ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। তখন শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে দুই দফায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং মামলায় ১৯ দিনের রিমান্ড শেষে গত রবিবার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।