সরকারি জমিতে আ.লীগ নেতার বহুতল ভবন!

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ফজলুল হক মৃধা নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা এবং ঢাকার তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

শ্রীপুর পৌর কর্তৃপক্ষ ও ভূমি অফিসের তথ্যমতে, ফজলুল হক মৃধার বাড়ি শ্রীপুরের রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নার্সারি মাঠ এলাকায়। তার বাবার নাম শামসুদ্দিন মৃধা। ফজলুল শ্রীপুর পৌর শহরে পোস্ট অফিস সংলগ্ন শ্রীপুর মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ৪৩৫৯, ৪৩৬০, ৪৩৬১ দাগের জমি দখল করে অবৈধভাবে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। ইতিমধ্যে ওই ভবনের পাঁচতলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া তিনি তার শ্বশুরবাড়ি সংলগ্ন কেওয়া বাজারে পৌরসভা থেকে পাঁচ তলার অনুমোদন নিয়ে একটি ভবন আট তলা করেছেন।

একটি ভবন সরকারি জমিতে নির্মাণ করা এবং অপরটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উভয় ভবন উচ্ছেদের জন্য শ্রীপুর পৌর প্রশাসন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, ‘সরকারি খাস জমি দখল করে ভবন তৈরির বিষয়টি দেখার কথা ছিল স্থানীয় প্রশাসনের। কিন্তু তারা তা দেখেনি। আমরাও তাদের অবহিত করেছি। অবৈধ কাজ বন্ধ রাখতে একাধিকবার নোটিশ দিয়েছি, তারপরও এই ব্যক্তি কাজ করেই যাচ্ছেন। এদিকে গত মে মাসে ভবন উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলেও তারা অদ্যাবদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’ সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণের বিষয়ে ফজলুর হকের দাবি, তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। তার সব কাগজপত্র রয়েছে। তিনি এসব জমি কিনে ভবন তৈরি করেছেন।

তবে এসব ভবন নির্মাণের অর্থের উৎস কী-এমন প্রশ্নের জবাবে ফজলুর হক জানান, তিনি মুরগীর আড়তদার। এ ছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েই তিনি এ ভবন তৈরি করেছেন।

এ বিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘সরকারি জমিতে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তা উচ্ছেদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করা হবে।’

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।