যুবলীগ চেয়ারম্যানকে নজরদারি নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভায় যোগ না দেয়া নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন পর্যন্ত যতটুকু করা হয়েছে, ততটুকুই থাকবে। যুবলীগের চেয়ারম্যান নজরদারিতে আছেন কি না, তা পরে জানা যাবে।
রোববার দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে ক্যাসিনো কাণ্ডে সরকারের শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এ সব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা সবাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন।
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে যুবলীগ চেয়ারম্যানসহ অন্য নেতার সম্পৃক্ততার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে সংগঠনটি। রোববার এ কমিটি গঠন করা হবে বলে যুগান্তরকে জানান যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আতাউর রহমান।
দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে বিরত আছেন। আসন্ন জাতীয় কংগ্রেস তার অনুপস্থিতিতেই হতে পারে। ব্যাংক হিসাব তলব ও বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
ক্যাসিনো-কাণ্ডে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নাম আলোচনায় আসায় দীর্ঘ ৭ বছর ধরে কোণঠাসা নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম বৈঠকে তাকে বহিষ্কার ও নতুন কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বভার দেয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় কংগ্রেসে তিনি যাতে সভাপতিত্ব করতে না পারেন তা নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় সেখানে।
শুক্রবারের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন প্রেসিডিয়াম সদস্যরা। প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান আতা, মাহবুবুর রহমান হিরণ, মো. ফারুক হোসেন অভিন্ন সুরে বলেন, যেহেতু উনি (ওমর ফারুক) নেই, তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে কেন পারব না? ব্যক্তির দায় সংগঠন বহন করতে পারে না। উনি উপস্থিত না হলে কাউকে না কাউকে তো সভাপতিত্ব করতে হবে।
তার নামে নানা ধরনের সংবাদ সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ সময় আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, যেহেতু উনি নেই, তাই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।
ক্যাসিনো-কাণ্ডের শুরুতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ তিন নেতার গ্রেফতারের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। তিনি ওই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেন। প্রশাসনকেও দূষছেন। যুবলীগের প্রশ্নবিদ্ধ নেতাদের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন। এরপরের দৃশ্যপট অন্যরকম। এরপর থেকেই তাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।