৭ লম্পট মিলে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ
নারায়ণগঞ্জে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পোশাক শ্রমিক। তাকে ঘরে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে ৭ যুবক। সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মণগাঁও গ্রামে সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর ভিকটিমকে উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ৭ জনকে আসামি করে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, তিনি রূপগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত আছেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার জন্য কারখানার সামনে থেকে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন। এ সময় জাহাঙ্গীর নামে একজন পেছনের সিটে বসা ছিল। গাউছিয়া যাওয়ার পর ভিকটিম অটোরিকশা থেকে নামতে চাইলে জাহাঙ্গীর বাধা দেয় এবং চালককে দ্রুত তালতলার দিকে যেতে বলে। চালক তার কথা মতো অটোরিকশা চালায়। এ সময় ওই নারীর মুখে সাদা রঙের কসটেপ লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরানো হয় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তালতলা এলাকায় হালিম মিয়ার ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। ওই সময় হালিম মিয়া বাড়িতে ছিলেন না। পরে উপজেলার ব্রাক্ষ্মণগাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমানের বখাটে ছেলে আবু সাইদ, রেহাজউদ্দিনের ছেলে ইমরান, নবি হোসেনের ছেলে রনি, আবু সিদ্দিকের ছেলে আবুল হোসেন, ভট্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ, আমির হোসেনের ছেলে আরিফ ও সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর তাকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে হালিম মিয়া বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ৫ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরিফ ও জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ভিকটিমকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আহসানউল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জন পলাতক আছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।