সর্বশেষঃ

চার্জশিট না দেয়া পর্যন্ত বুয়েটের সকল কার্যক্রম স্থগিতের দাবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট না দেয়া পর্যন্ত বুয়েটের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা এ দাবি জানান। এর আগে দুপুরে চলতি বছরের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতসহ ৯ দফা দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া বেঁধে দেয়া সময়ের (বিকেল ৫টা) মধ্যে ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম জবাবদিহি না করায় বুয়েটের প্রধান ফটকে তালা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তারা তালা দেন।

প্রধান ফটকে তালা দেয়া ছাড়াও ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কার্যালয়ে ভেতরে হল প্রভোস্টদের সাথে বৈঠকে বসেছেন ভিসি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈঠক শেষে ভিসি স্যার কথা না বলে যেন যেতে না পারেন সে জন্য তারা অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে চকবাজার থানার ওসি আলী হোসেন খান মামলা দায়েরের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ১৪। ওই মামলায় আসামি ১৯ জন। এর মধ্যে আটকরাও রয়েছেন। তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত রোববার রাত ৩টার দিকে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ওই রাতেই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।