ভোলায় পুস্টি নিরাপত্তায় মডেল গ্রাম গড়তে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও চারা বিতরণ
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়ে ‘ভোলায়’
ইলিশ মাছ। প্রাকৃতিক ভাবে প্রাপ্ত সবচেয়ে স্বাদের মাছ। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হিসেবে স্বীকৃত এই ইলিশের কদর সারা পৃথিবী জুড়ে। পৃথিবীতে যত ইলিশ আহরিত হয় তার মোট শতকরা হারের ৮৫ ভাগ ইলিশ মাছ বাংলাদেশে আহরিত হয়। বাংলাদেশই যেন ইলিশের সবচেয়ে নিরাপদ আবাসস্থল। তারা সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশকেই তাদের বসবাসস্থল ধরে নিয়েছে। ইলিশের বর্তমান উৎপাদন পাঁচ থেকে সাত লাখ মেট্রিক টন পর্যন্ত দাবি করা হয়। গত অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে বাংলাদেশে যা এ অর্থ বছরে আরও বাড়বে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এই ইলিশ বিশাল ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশে উৎপাদিত মোট ইলিশের বেশিরভাগ আহরিত হয় দ্বীপজেলা হিসেবে স্বীকৃত ভোলা জেলায়। বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে ইলিশ উৎপাদনে ভোলা জেলার স্থান সবার শীর্ষে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই জেলায় মোট ইলিশ আহরণ হয় এক লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টনের মতো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হয়। ভোলায় প্রায় ৫০ হাজার মৎসজীবী ভোলার বিভিন্ন নদীতে ইলিশ আহরণের কাজে লেগে থাকেন। ভোলার প্রধান নদী মেঘনা এবং বঙ্গোপসাগরসহ আরও কিছু ছোট ছোট নদী থেকে এই ইলিশ আহরণ করা হয় বলে জানা গেছে।
ভোলার পরেই ইলিশ আহরণের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরগুনা জেলা। গত অর্থ বছরে এই জেলা থেকে আহরিত ইলিশের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন। এখানে প্রায় ৪০ হাজার মৎসজীবী ইলিশ আহরণের কাজ করে থাকেন। বরগুনার প্রধান তিনটি নদী বিষখালী, বুড়িশ্বর (পায়রা) ও বলেশ্বর নদী থেকে আহরণ করা হয় ৪৯০০ মেট্রিক টন। এবং সাগর থেকে ৯১,০০০ মেট্রিক টন।
তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে পটুয়খালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা। অপরদিকে ইলিশের বাড়ি হিসেবে খ্যাত চাঁদপুরে একই অর্থবছরে থেকে ইলিশ ধরা হয়েছে মাত্র ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। ইলিশ আহরণের হিসাবে এই জেলার অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে। মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।