ভোলায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় ঘরবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩ নং ওয়ার্ডের আমান উদ্দিন সিকদার বাড়িতে একটি হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আমান উদ্দিন সিকদার বাড়ির শামসুদ্দিন সিকদারের ছেলে আব্দুল্লাহ মুন্না জানান, গত ২১ এপ্রিল জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার বাবার সাথে আমার চাচা মোস্তাফিজ মাস্টারের কথাকাটাকাটি হয়। তর্কের এক পর্যায়ে আমার চাচা মোস্তাফিজ মাস্টার হাট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ২২ এপ্রিল মৃত্যুবরন করেন। এ ঘটনার রেশ ধরে আমার চাচাতো ভাই আসিফ বাদী হয়ে আমার বাবা শামসুদ্দিন সিকদারসহ বাড়ির আরো ১১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরে পর থেকে আতংকে আমাদের ঘরসহ বাড়ির তিন ঘরে কোন লোকজন থাকতে পারে না। লোকজন না থাকায় আমার চাচাচো ভাই আসিফ এবং তার ভগ্নীপতি লোকজন নিয়ে কয়েক দফায় আমাদের ঘরসহ আরো ২ ঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকারীরা আমাদের ঘরের ফ্রিজ, টিভিসহ সকল মালামাল ভাংচুর করে ও ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। পাশাপাশি তারা আমাদের অনেক গাছ কেটে বিক্রী করে দিয়েছে। ঐ বাড়ির মিন্টু সিকদারের ছেলে কামাল হোসেন এবং আছমা বেগমের ভাই নিজামুল সিকদারও আসিফের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত আসিফ ও তার ভগ্নীপতি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কারো ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করিনি বরং তারা নিজেরা-ই ভাংচুর করে আমাদের নাম দিচ্ছে। অভিযুক্ত আসিফ আরো বলেন, আমার বাবাকে যখন আহত অবস্থায় হাসপাতলে নিয়ে যাই, আবদুল্লাহ মুন্না গংরা কাউন্টার মামলা করার জন্য এলাকার দু’একজন সাথে নিয়ে তারা নিজেরাই বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে আমাদের নাম দেয়। আপনারা প্রয়োজনে এলাকার প্রত্যেকটি ঘরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
আসিফের মা বলেন, ওরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমাদেরকে যন্ত্রণা দিয়ে আসছে। তারা সব সময় ওপেন সবার সামনে বলতো, আজ হোক, কাল হোক একদিন না একদিন তোর স্বামীকে খুন করবোই। আমার ছেলে বাবার শোকে অসুস্থ্য। ওদের ভয়ে আমরা দিনে রাতে ঘরে তালা দিয়ে রাখি। কেউ দরজায় নক করলে আতঙ্কে থাকি। আমিও সরকার বাহাদুরের কাছে আমার স্বামী হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবী করছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।