শিক্ষক দিবসে ভোলায় শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে গতকাল ভোলায় শিক্ষক বিদস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ভোলায় শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভোলা প্রেস্কলাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকেরহাট কো-অপারেটিভ মহা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ, জাঙ্গালিয়া স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমীন, ইলিশা ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনির উদ্দিন, জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন, শিবপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন নাহার, রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির উদ্দিন খান, ইলিশা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ভোলা টাউন কমিটি (বাংলা) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান, জয়নাল আবেদীন ল্যাবরেটরী স্কুল দৌলতখান’র প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফাতেমা খানম কলেজ বাংলাবাজার কলেজের প্রভাষক বিল্লাল হোসেন জুয়েল প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন এডভোকেট ইউনুস মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সাধারন সম্পাদক মোঃ মূসা কালিমুল্লাহ।
সভায় বক্তাগন বলেন যে, শিক্ষকগন তাদের সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে দক্ষ ও যোগ্য মানুষ হিসেবে তৈরি করে শিক্ষকরাই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ শিক্ষকদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে থাকে, কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশের ৯৭% শিক্ষার দায়িত্ব পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকগন অথচ শিক্ষকদের নেই সামাজিক মর্যাদা, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ও আকর্ষনীয় বেতন ভাতা। এই বিশৃঙ্খল ও বৈষম্যমুলক শিক্ষা ব্যবস্থার মানউন্নয়ন সময়ের চ্যালেঞ্জ। আজকে (গতকাল) শিক্ষক দিবসের প্রান্তিক অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠির সন্তানদের স্বল্প খরচে শিক্ষার সুযোগ এবং শিক্ষক বঞ্চনা বৈষম্য দূরিকরনে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে জাতীয়করনের জোড় দাবি জানাচিছ।
অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষা নীতি ও শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন করে শিক্ষকদের মাঝে যে অপ্রাপ্তি বঞ্চনা বৈষম্য ও ক্ষোভ রয়েছে তা দূরিভূত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছে শিক্ষক সমাজ। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করে বেসরকারী শিক্ষকদের বিদ্যমান বঞ্চনা ও বৈষম্যের সঠিক চিত্র এবং জাতীয়করনের যৌক্তিকতা গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের জাতীয়করনের জোড় দাবি জানান।