বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দৃষ্টান্ত : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক বিশ্ববাসীর কাছে সু-প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত– একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের মধ্যকার এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

শনিবার নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত এক দশকে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রথাগত খাত যেমন নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু ও পরিবেশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জনযোগাযোগ বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন ও অপ্রচলিত খাত যেমন ব্লু-ইকোনমি এবং মেরিটাইম, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি ও সাইবার সিকিউরিটি প্রভৃতি খাতে উভয় দেশের সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ সকল বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে আমাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সম্মুখে সু-প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্তরূপে পরিগণিত হচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের শুরুর দিককার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের উভয় দেশের মধ্যকার এই সম্পর্কের শুভ সূচনা হয়েছিল ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের অপরিসীম অবদানের কথা আমরা চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ক্ষেত্রে তা এক মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ হতে ভারতে এলপিজি রপ্তানির সিদ্ধান্ত আমাদের উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ককে অধিকতর বেগবান করবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া এর ফলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহের জ্বালানি চাহিদা পূরণ অনেকাংশে সহজ হবে বলে আমি আশা করছি।’

এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দু’দেশের সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয় এবং বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতাপত্র বিনিময় হয়। এছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে দ্বিপাক্ষিক তিনটি প্রকল্পও উদ্বোধন করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page