বিদ্যুতের দাবিতে রাস্তায় বিহারিরা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং বন্ধ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে বিহারিক্যাম্পবাসী। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বিদ্যুতের দাবিতে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে ক্যাম্পবাসী। এরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান জানান, ৩১ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি জেনেভা ক্যাম্পবাসীর। সে টাকা পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। কিন্তু তারা বকেয়া বিল পরিশোধ না করে রাস্তায় নামে। বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

জেনেভা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, অনেক দিন ধরেই জেনেভা ক্যাম্পে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছিল, যা সপ্তাহ খানেক ধরে আরও বৃদ্ধি পায়। এ ব্যাপারে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলবে বলে জানায়। শনিবার দুপুরে নিয়মিত ফ্রি বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে বিহারিরা রাস্তায় অবস্থান নিলে স্থানীয় কাউন্সিলর মিজান কথা বলতে আসেন। তিনি চলে যাওয়ার পরই পুলিশ ও র‍্যাব বিহারিদের ওপর রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ শুরু করে।

এ ব্যাপারে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ জুয়েল জাগো নিউজকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জেনেভা ক্যাম্পে নিয়মিত বিদ্যুৎ প্রদান করা হচ্ছে না। দিনেরবেলা তো বিদ্যুৎ থাকেই না রাতের বেলাও বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। যে কারণে শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছে না। আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলেও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে গজনবি রোডে অবস্থান নিলে পুলিশ ক্যাম্পবাসীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এরপর বিহারিরাও উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ রেসিডেন্সিয়াল কলেজের সামনে থেকে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করছে। এ ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তাজমহল রোড, হুমায়ূন ও শাহজাহান রোডে বিহারিরা অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকধারীদের দেখা গেছে।

সর্বশেষ দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে চলছিল সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।