ইউপি সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগ

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বন্ধুর সহযোগিতায় একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের ছেলে সাব্বির আহমেদ (২০)।
সাব্বির আহমেদ নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সাব্বির আহমেদ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বেগ ওরফে সোনা মেম্বারের ছেলে সাব্বির আহমেদ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে গত এক বছর ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন সময় যেখানে-সেখানে ঘুরতে নিয়ে যায়।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার বিকালে চলিশিয়া গ্রামে তার ফুফাতো ভাই নাসির শেখের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে খাবার পানির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ব্যাপারে ওই রাতে সরেজমিন গিয়ে চলিশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে ওই স্কুলছাত্রীকে দেখতে পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাব্বিরের সঙ্গে তার এক বছর ধরে প্রেম চলছে। ইতিপূর্বে কয়েকবার সাব্বির তাকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় তাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ফুফাতো ভাই নাসিরের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পানি পান করার পর সে অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর তাকে ধর্ষণ করে সাব্বির। পরে জ্ঞান ফিরলে তাকে একটি মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।
এদেকে বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটির পরিবার থেকে ওই ছেলের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু ভিকটিম নাবালিকা হওয়ায় দেখা দেয় বিড়ম্বনা।
বিষয়টি অভয়নগর থানা পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসে। সাব্বির আহমেদ পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
সূত্র যুগান্তর