ভোলায় দুই ধর্ষক নিহতের ঘটনায় তদন্তে এসিল্যান্ড কাওসার আহমেদ
ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে গত কোরবানির ঈদের রাতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী কে গণধর্ষণ করেন স্থানীয় দুই বখাটে।
রক্তাক্ত অবস্থায় ঐ স্কুল ছাত্রী কে তার বাবা ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আছেন, সেখান থেকে আবার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেওয়া হয়।
ঘটনার দিন ঐ ধর্ষনের শিকার ছাত্রী কে দেখতে দিয়ে ধর্ষিতার রক্তে বাবার পোশাক রঞ্জিত দেখে দুই ধর্ষকের কঠিন শাস্তি চেয়েছে ভোলাবাসী।
ঘটনাটি বিভিন্ন চ্যানেল, পত্রিকা ও অনলাইনে গুরুত্ব সহকারে নিউজ করা হয় এবং প্রতিবাদের ঝড় তোলে।
সবশেষ ১৪ আগস্ট ২০১৯ তারিখে ভোর রাতে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বেড়ীর মাথায় একদল জলদস্যুর সাথে ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশের সাথে গোলাগুলি হয় ঐ সময় দুই দস্যু পুলিশের গুলিতে আহত হলে মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন, এর পর পুলিশ পরিচয় নিয়ে জানতে পারেন এই দুই দস্যু সেই গণধর্ষণকারী মঞ্জু ও আলামিন।
এইদিকে দুই দস্যু নিহতের ঘটনায় বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন সহকারী কমিশনার ভূমি কাওসার আহমেদ।
এই সময় স্থানীয় গ্রামবাসী বলেন গোলাগুলিতে দুই ধর্ষক মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন এই ধরনের অপরাধীদের এমন শাস্তি হওয়া উচিত।
স্থানীয়রা জানান এই দুই দস্যু মৃত্যুতে অন্য অপরাধীরা সর্তক হওয়া উচিত যে কোন অপরাধীর হাত শক্তিশালী নয়।
তদন্তের বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি কাওসার আহমেদ বলেন, পুলিশ যে গুলিবর্ষণ করেছে তা কি সরকারি জান মাল রক্ষার জন্য করেছি কিনা জানতে গিয়েছি এবং সাক্ষীদের বক্তব্য নিয়ে এসেছি আমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে প্রতিবেদন জমা দিবো।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর থানার তদন্ত ওসি মনিরুল ইসলাম, রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খান, ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী রতন শীল, এস আই সোহেল,এ এস আই সুজন মাঝি প্রমুখ।