সরকারের সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল
দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। আপনাদের (সরকারের) সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেছে। ক্ষমতা দিয়ে আর টিকে থাকা যাবে না। তাই এখনও সময় আছে সংসদ ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিন। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠের পূর্বপাশের পাকা রাস্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আলমগীর একথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার। তিনি মুক্তি পেলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
মহাসমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। তারা বক্তব্য রাখবেন। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল মনির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা উপস্থিত আছেন। এছাড়া বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষকদলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন। মহাসমাবেশ পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।
মহাসমাবেশক কেন্দ্র করে রাজশাহী মহানগরীতে ব্যাপক নিরাপত্তা নেয় রাজশাহী মহানগর পুলিশ। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই মহানগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা দেখা গেছে। সমাবেশস্থলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমের (কিউআরটি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। প্রস্তুত রাখা হয় জলকামান ও এপিসি কার। এর আগে শনিবার ২২টি শর্তে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠের পূর্বপাশের পাকা সড়কে বিএনপিকে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেয় রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)।