ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর : গুলিতে প্রাণ গেল ৬ জনের
ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইমরান খানের বক্তব্যের পর দিন জম্মু-কাশ্মীরের অন্তত তিন জায়গায় একই দিনে হামলা চালালো জঙ্গিরা। এতে দুই সেনা এবং অন্তত চার জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের দুই কর্মী।
এখনও এক স্থানে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী চলন্ত বাসকে থামানোর চেষ্টা করে ২-৩ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। শ্রীনগর মহাসড়কের রামবান জেলার বাটোটের কাছে বাস থামানোর এই চেষ্টার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে গেন্ডারবলে। সেখানে জঙ্গি হানা রুখে দেয় সুরক্ষা বাহিনী। সেখানে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে দু’তিন জন জঙ্গি মারা গেছে বলে জানা যায়।
সূত্র জানায়, গেন্ডারবল এলওসির খুব কাছাকাছি হওয়ায় সেখান দিয়েই ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। সেনাবাহিনী বা পুলিশ এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানাতে পারেনি।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগরে। জানা গেছে, সেখানে জঙ্গিরা একটি জনবহুল এলাকার আশেপাশে একটি গ্রেনেড ছোড়ে। ওই গ্রেনেড হামলায় কেউ আহত হয়নি। সূত্র জানায়, এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় রাস্তায় খুব কম লোক ছিলো। তাই বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে নিস্তার পাওয়া গেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, বাটোটে এখনো গোলাগুলি চলছে। সেখানে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা একটি বাড়িতে ঢুকে জিম্মিদশা তৈরি করেছে। তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা ওই বাড়ি চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে তিন সন্ত্রাসীর একটি দল ওই বাড়িতে প্রবেশ করে প্রবীণ এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে রাখে।
এদিকে শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে ইমরান খান বলেছেন, কাশ্মীরে যে দমন-পীড়ন চলছে, সেটি অব্যাহত থাকলে প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধও বেধে যেতে পারে। আর এই যুদ্ধ শুরু হলে এটি শুধু দুটি দেশের মাঝে সীমিত থাকবে না।