সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে যুবলীগ নেত্রী মমতাজ আটক
নওগাঁর পত্নীতলায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন যুবলীগ নেত্রী মমতাজ ও তার ক্যামেরাম্যান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর নজিপুর পৌরসভার চৌরাস্তার মোড়ে মিষ্টান্ন দোকানে গিয়ে চাঁদাবাজির সময় তাদের ধরে পুলিশে দেয় উত্তেজিত জনতা।
আটককৃতরা হলেন- রাণীনগর উপজেলা মহিলা যুবলীগের সভাপতি ও দাউদপুর গ্রামের আশিকুজ্জামান বিপ্লবের স্ত্রী মমতাজ বেগম সাথী ও তার ক্যামেরাম্যান নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে জাকারিয়া হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, মমতাজ বেগম সাথী নিজেকে চ্যানেল৬৯ টিভির নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা বলে পরিচয় দেন। এই পরিচয় ব্যবহার করে ক্যামেরাম্যান জাকারিয়া হোসেনের সহায়তায় তিনি বিভিন্ন বেকারি, মিষ্টান্ন দোকান ও ফ্যাক্টরিতে গিয়ে অনিয়মের খবর প্রচারের হুমকি দিয়ে বহুদিন ধরে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের মিষ্টান্ন দোকানে গিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় তাদের ধরে পুলিশের নিকট উত্তেজিত জনতা তুলে দেয়। পরে পুলিশ রহস্যজনক কারণে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মমতাজ বেগম ও জাকারিয়াকে ছেড়ে দেয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মমতাজের বিরুদ্ধে একাধিক মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মমতাজ বেগমের স্বামী আশিকুজ্জামান বিপ্লব বর্তমানে অস্ত্র ও মাদক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। দুই বছর আগে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।
এদিকে ইতিপূর্বে চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রমাণ থাকায় রাণীনগর প্রেসক্লাব থেকে মমতাজ বেগমকে গত ২০১৬ সালে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, তারা সাংবাদিক কিনা সত্যতা যাচাই জন্য নওগাঁর সাংবাদিক বেলাল হোসেনকে (মোহনা টিভি) ফোন করা হলে তিনি তাদের সাংবাদিক পরিচয় নিশ্চিত করেন। কিন্তু ভুক্তভোগীদের আনিত চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলা না করায় বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম জানান, আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
সূত্র যুগান্তর